ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯ কোটি টাকার বালুমহাল ৫৬ কোটি, ভাঙন আতঙ্কে গ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার স্বর্ণকূপ খ্যাত জাফরাবাদ মৌজায় অবস্থিত নতুন চর ৯ কোটি টাকার বালুমহাল ছয় মাসেই হলো ৫৬ কোটি। উপজেলার বহুল আলোচিত বালুমহালটির বার্ষিক ৫৬ কোটি টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের মালিকানাধীন মুন্সি এন্টারপ্রাইজ ফের ইজারা পেয়েছে। গত বছর ছয় মাসের জন্য ৯ কোটি টাকায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা শোভনের মালিকানাধীন মুন্সি এন্টারপ্রাইজ এ বালুমহালের ইজারা পেয়েছিল। মাত্র ছয় মাসেই বালুমহালটির ইজারা মূল্য ৯ কোটি থেকে এক লাফে বেড়ে ৫৬ কোটি হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নবীনগরে জাফরাবাদ মৌজার মেঘনা নদীর এই বালুমহালের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ২ এপ্রিল। গত বুধবার বিকালে দরপত্র খোলা হয়। দরপত্র খোলার পর সেখানে ৭টি দরপত্র জমা পড়তে দেখা যায়। পরে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বার্ষিক ৫৬ কোটি টাকায় বালুমহালটির ইজারা পায় মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। জমা পড়া ৭টি দরপত্রের মধ্যে ৫১ কোটি টাকায় দ্বিতীয় দরদাতা এবং ৪৮ কোটি টাকায় তৃতীয় দরদাতা হিসেবে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো নদী গর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষায় ২০১৮ সালে সোনাবালুয়া ঘাট থেকে এমপি টিলা পর্যন্ত ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। উপজেলার নদীভাঙনকবলিত জাফরাবাদ মৌজায় নতুন চর এলাকার মেঘনা নদীতে সর্বোচ্চ ৩২ একর সীমানায় বালু উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে গত বছর ছয় মাসের জন্য ৯ কোটি টাকার বিনিময়ে বালুমহালটি ইজারা নিয়েছিল মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। ইজারার শর্ত অনুযায়ী ২০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও সেখানে প্রায় শতাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধের ৫০ ফুট এলাকা জুড়ে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষজন। ইজারার মেয়াদ শেষে আর নতুন করে ইজারা না দেওয়া জন্য, এলাকায় মানববন্ধন পালনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়া বলেন, সীমানার বাইরে এসে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পরেছে। হেরাই ভাঙে আবার হেরাই ভরে। প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে হেরা বালু উত্তোলন করে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বাড়িঘর সব নদীতে চলে যাবে।

এ বিষয়ে আব্দুল লতিফ বলেন, নদীর তীরবর্তী ড্রেজিং করার কারণে জিও ব্যাগগুলো নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং এতে করেই এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা একাধিকবার প্রশাসনকে অবগত করেছি।

এ বিষয়ে লাবিয়া বেগম বলেন, আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, স্থানীয় মেম্বার দেলোয়ার নুরজাহানপুর থেকে আমাকে ছুটিয়ে আনেন। আমরা গরীব মানুষ প্রতিবাদ করলেও বিপদ।

এ বিষয়ে দেলোয়ার মেম্বার বলেন, পুলিশের সাথে ব্যবহার খারাপ করার কারণে সোনাবালুয়া থেকে তাকে ধরে নিয়ে গেলে আমি নুরজাহানপুর গিয়ে তাকে ছুটিয়ে আনি।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, আমাদের ৫ থেকে ৬ বার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকার বেড়িবাঁধ দিয়ে দিছে, আবার সরকারই বালু তোলার জন্য তাদেরকে অনুমতি দিয়েছে, তাহলে বেড়িবাঁধ দিয়ে লাভটা হলো কি। অনেকে আবার বাড়িঘর হারিয়ে এখন অন্যের বাড়িতে বসবাস করেন।

এ বিষয়ে বালুমহালের কেয়ারটেকার ছাদেক মিয়া জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালু মহালের পক্ষ থেকে ৬৫ ট্রলি কংক্রিট দিয়ে কিছু অংশ ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।
৯_কোটি_টাকার_বালুমহাল_৫৬_কোটি_ভাঙন_আতঙ্কে_গ্রামবাসী

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, এই বালুমহাল এখন একটি মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার একটি আলামত বেড়িবাঁধ ভাঙন। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নতুন করে আর ইজারা না দিতে এলাকাবাসী পক্ষ থেকে মানববন্ধনসহ প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে অনুরোধ করা হলেও আবারো ইজারা দেওয়ায় আতঙ্কিত গ্রামবাসী।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বালুমহাল এলাকায় শর্তের বাইরে যেয়ে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। আগেও সীমানার বাইরে ড্রেজার মেশিন পাওয়া যাওয়ায় ইজারাদারের ৯ জন লোককে জেল জরিমানা করেছি। সর্বশেষ সোমবার (১ মার্চ) আবার এই বালু মহালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০টি ড্রেজারের বেশি পাওয়ায় ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. সাদেক মিয়াকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বালুমহালটি পুনরায় ইজারা পাওয়া মুন্সি এন্টারপ্রাইজের মালিক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ‘দরপত্র খোলার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তবে শুনেছি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ এবারও বালুমহালটি ইজারা পেয়েছে। তবে ইজারার কাগজপত্র না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই ছাত্রনেতা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৩ এপ্রিল বিকালে দরপত্র খোলা হয়। সেখানে ৫৬ কোটি টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বালুমহালটি পুনরায় ইজারা পেয়েছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

৯ কোটি টাকার বালুমহাল ৫৬ কোটি, ভাঙন আতঙ্কে গ্রামবাসী

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার স্বর্ণকূপ খ্যাত জাফরাবাদ মৌজায় অবস্থিত নতুন চর ৯ কোটি টাকার বালুমহাল ছয় মাসেই হলো ৫৬ কোটি। উপজেলার বহুল আলোচিত বালুমহালটির বার্ষিক ৫৬ কোটি টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের মালিকানাধীন মুন্সি এন্টারপ্রাইজ ফের ইজারা পেয়েছে। গত বছর ছয় মাসের জন্য ৯ কোটি টাকায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা শোভনের মালিকানাধীন মুন্সি এন্টারপ্রাইজ এ বালুমহালের ইজারা পেয়েছিল। মাত্র ছয় মাসেই বালুমহালটির ইজারা মূল্য ৯ কোটি থেকে এক লাফে বেড়ে ৫৬ কোটি হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নবীনগরে জাফরাবাদ মৌজার মেঘনা নদীর এই বালুমহালের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ২ এপ্রিল। গত বুধবার বিকালে দরপত্র খোলা হয়। দরপত্র খোলার পর সেখানে ৭টি দরপত্র জমা পড়তে দেখা যায়। পরে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বার্ষিক ৫৬ কোটি টাকায় বালুমহালটির ইজারা পায় মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। জমা পড়া ৭টি দরপত্রের মধ্যে ৫১ কোটি টাকায় দ্বিতীয় দরদাতা এবং ৪৮ কোটি টাকায় তৃতীয় দরদাতা হিসেবে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো নদী গর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষায় ২০১৮ সালে সোনাবালুয়া ঘাট থেকে এমপি টিলা পর্যন্ত ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। উপজেলার নদীভাঙনকবলিত জাফরাবাদ মৌজায় নতুন চর এলাকার মেঘনা নদীতে সর্বোচ্চ ৩২ একর সীমানায় বালু উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে গত বছর ছয় মাসের জন্য ৯ কোটি টাকার বিনিময়ে বালুমহালটি ইজারা নিয়েছিল মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। ইজারার শর্ত অনুযায়ী ২০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার কথা থাকলেও সেখানে প্রায় শতাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধের ৫০ ফুট এলাকা জুড়ে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষজন। ইজারার মেয়াদ শেষে আর নতুন করে ইজারা না দেওয়া জন্য, এলাকায় মানববন্ধন পালনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর গ্রামের হুমায়ুন মিয়া বলেন, সীমানার বাইরে এসে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পরেছে। হেরাই ভাঙে আবার হেরাই ভরে। প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে হেরা বালু উত্তোলন করে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বাড়িঘর সব নদীতে চলে যাবে।

এ বিষয়ে আব্দুল লতিফ বলেন, নদীর তীরবর্তী ড্রেজিং করার কারণে জিও ব্যাগগুলো নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং এতে করেই এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা একাধিকবার প্রশাসনকে অবগত করেছি।

এ বিষয়ে লাবিয়া বেগম বলেন, আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, স্থানীয় মেম্বার দেলোয়ার নুরজাহানপুর থেকে আমাকে ছুটিয়ে আনেন। আমরা গরীব মানুষ প্রতিবাদ করলেও বিপদ।

এ বিষয়ে দেলোয়ার মেম্বার বলেন, পুলিশের সাথে ব্যবহার খারাপ করার কারণে সোনাবালুয়া থেকে তাকে ধরে নিয়ে গেলে আমি নুরজাহানপুর গিয়ে তাকে ছুটিয়ে আনি।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, আমাদের ৫ থেকে ৬ বার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকার বেড়িবাঁধ দিয়ে দিছে, আবার সরকারই বালু তোলার জন্য তাদেরকে অনুমতি দিয়েছে, তাহলে বেড়িবাঁধ দিয়ে লাভটা হলো কি। অনেকে আবার বাড়িঘর হারিয়ে এখন অন্যের বাড়িতে বসবাস করেন।

এ বিষয়ে বালুমহালের কেয়ারটেকার ছাদেক মিয়া জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালু মহালের পক্ষ থেকে ৬৫ ট্রলি কংক্রিট দিয়ে কিছু অংশ ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।
৯_কোটি_টাকার_বালুমহাল_৫৬_কোটি_ভাঙন_আতঙ্কে_গ্রামবাসী

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, এই বালুমহাল এখন একটি মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার একটি আলামত বেড়িবাঁধ ভাঙন। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নতুন করে আর ইজারা না দিতে এলাকাবাসী পক্ষ থেকে মানববন্ধনসহ প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে অনুরোধ করা হলেও আবারো ইজারা দেওয়ায় আতঙ্কিত গ্রামবাসী।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বালুমহাল এলাকায় শর্তের বাইরে যেয়ে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। আগেও সীমানার বাইরে ড্রেজার মেশিন পাওয়া যাওয়ায় ইজারাদারের ৯ জন লোককে জেল জরিমানা করেছি। সর্বশেষ সোমবার (১ মার্চ) আবার এই বালু মহালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০টি ড্রেজারের বেশি পাওয়ায় ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. সাদেক মিয়াকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বালুমহালটি পুনরায় ইজারা পাওয়া মুন্সি এন্টারপ্রাইজের মালিক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ‘দরপত্র খোলার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তবে শুনেছি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ এবারও বালুমহালটি ইজারা পেয়েছে। তবে ইজারার কাগজপত্র না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই ছাত্রনেতা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৩ এপ্রিল বিকালে দরপত্র খোলা হয়। সেখানে ৫৬ কোটি টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বালুমহালটি পুনরায় ইজারা পেয়েছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ।