ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী বেলাবতে শামছুল হুদা রহমানীয়া মাহমুদীয়া দ্বীনিয়া মাদরাসার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভয়ে ভীত প্রীতি উরাংয়ের পরিবারও নাগরিক সমাজের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার দাবি কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ গেল ব্যাংকে টাকা নাই গ্ৰাহক সেবা থেকে বঞ্চিত; হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্টকে জেতাতে কোমর বেঁধেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি শামসুল হুদা লস্কর কলেজছাত্র মামুন হত্যাকান্ডের প্রধান জুনেদ কারাগারে শ্রীমঙ্গলে অভ্যন্তরীন বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন;কৃষিমন্ত্রী ‘অনুমতি ছাড়া জন্ম দেয়ায়’ মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা! সুদের চক্রে ফেঁসে বিষপানে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার আত্মহত্যা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মাদারীপুরে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

মাদারীপুর প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট।। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মাদারীপুরে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মাদারীপুরে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে দুই দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে অথবা হেলে পড়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সরেজিমন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর, ঘটমাঝি, কেন্দুয়া ইউনিয়ন এবং ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম, নবগ্রাম ইউনিয়নের আমন ধান ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে হওয়া বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া জেলার শিবচর, রাজৈর ও কালকিনির বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, কিছু জমির পাকা আমন ধান ও কিছু কিছু জমির কাচা ও আধা কাচা ধান নষ্ট হয়ে গেছে।

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খাতিয়াল গ্রামের কৃষক রাসেল মল্লিক, ইউনুস মোড়লসহ অন্য কৃষকরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হওয়া তীব্র বাতাস ও বৃষ্টিতে গ্রামের সব আমন চাষির ধান হেলে পড়েছে অথবা তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এছাড়া চার বিঘা জমির একটি টমোটা ক্ষেত পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।

একই গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন মল্লিক বলেন, ‘আমাদের ২০ বিঘা জমির আমন ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ছি। সরকার বাহাদুর আমাদের যদি কোনো অনুদান দেয় তাহলে এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দ্বিগবিজয় হাজরা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যে সব কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি কৃষকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরী করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। পরে সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোনো প্রণোদনা আসলে তালিকাভুক্ত কৃষকদের তা প্রদান করা হবে।’

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মাদারীপুরে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

মাদারীপুর প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট।। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মাদারীপুরে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মাদারীপুরে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে দুই দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে অথবা হেলে পড়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সরেজিমন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর, ঘটমাঝি, কেন্দুয়া ইউনিয়ন এবং ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম, নবগ্রাম ইউনিয়নের আমন ধান ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে হওয়া বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া জেলার শিবচর, রাজৈর ও কালকিনির বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, কিছু জমির পাকা আমন ধান ও কিছু কিছু জমির কাচা ও আধা কাচা ধান নষ্ট হয়ে গেছে।

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খাতিয়াল গ্রামের কৃষক রাসেল মল্লিক, ইউনুস মোড়লসহ অন্য কৃষকরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হওয়া তীব্র বাতাস ও বৃষ্টিতে গ্রামের সব আমন চাষির ধান হেলে পড়েছে অথবা তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এছাড়া চার বিঘা জমির একটি টমোটা ক্ষেত পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।

একই গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন মল্লিক বলেন, ‘আমাদের ২০ বিঘা জমির আমন ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ছি। সরকার বাহাদুর আমাদের যদি কোনো অনুদান দেয় তাহলে এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দ্বিগবিজয় হাজরা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যে সব কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি কৃষকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরী করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। পরে সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোনো প্রণোদনা আসলে তালিকাভুক্ত কৃষকদের তা প্রদান করা হবে।’