ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“আমরা সব সময় শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আমরা সব সময় শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী|

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনা মহামারি এবং আরেক দিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ; যেটা আসলে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আমি জানি, মানুষের দুঃখ এবং যুদ্ধের ভয়াবহতা শিল্পীর আঁচরে উঠে আসবে। যাতে করে এ ধরনের যুদ্ধ যাতে না হয়, পৃথিবীর মানুষ যেন শান্তিতে বাস করতে পারে, মানুষের জীবনমান যাতে উন্নত হয়, সেটাই আমরা চাই।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ, ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।শিল্প-সংস্কৃতি যেকোনো জাতির আত্মপরিচয় বহন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পীর তুলির আঁচরেই উঠে আসে একটি দেশ ও জাতির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। মানুষের চেতনাকে ঋদ্ধ করে। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের সংগ্রামও প্রাণ পেয়েছিল শিল্পীর আঁচরে। আমাদের শিল্পীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে একুশ বছর পর আমরা সরকার গঠন করার সুযোগ পাই। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে শিল্পকলা একাডেমি যাতে আরও সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে তার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করি। সেখানে জাতীয় নাট্যশালা, এক্সপেরিমেন্টাল স্টুডিও থিয়েটার, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, চারুকলা মিলনায়তন, নন্দন ও উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। ’

৬৪ জেলায় শিল্পকলা একাডেমির নতুন ভবন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৪৯৩টি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। আমরা সংস্কৃতির সেবা একেবারে তৃণমূলের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই। একদিকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি, পাশাপাশি শিল্পী মনের বিকাশ যাতে হয় সে পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।’

১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী শিল্পীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের আয়োজনে ১১৪টি দেশের শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের বিজয়ী শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“আমরা সব সময় শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী”

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আমরা সব সময় শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী|

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনা মহামারি এবং আরেক দিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ; যেটা আসলে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আমি জানি, মানুষের দুঃখ এবং যুদ্ধের ভয়াবহতা শিল্পীর আঁচরে উঠে আসবে। যাতে করে এ ধরনের যুদ্ধ যাতে না হয়, পৃথিবীর মানুষ যেন শান্তিতে বাস করতে পারে, মানুষের জীবনমান যাতে উন্নত হয়, সেটাই আমরা চাই।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ, ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।শিল্প-সংস্কৃতি যেকোনো জাতির আত্মপরিচয় বহন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পীর তুলির আঁচরেই উঠে আসে একটি দেশ ও জাতির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। মানুষের চেতনাকে ঋদ্ধ করে। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের সংগ্রামও প্রাণ পেয়েছিল শিল্পীর আঁচরে। আমাদের শিল্পীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে একুশ বছর পর আমরা সরকার গঠন করার সুযোগ পাই। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে শিল্পকলা একাডেমি যাতে আরও সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে তার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করি। সেখানে জাতীয় নাট্যশালা, এক্সপেরিমেন্টাল স্টুডিও থিয়েটার, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, চারুকলা মিলনায়তন, নন্দন ও উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। ’

৬৪ জেলায় শিল্পকলা একাডেমির নতুন ভবন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৪৯৩টি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। আমরা সংস্কৃতির সেবা একেবারে তৃণমূলের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই। একদিকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি, পাশাপাশি শিল্পী মনের বিকাশ যাতে হয় সে পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি।’

১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী শিল্পীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের আয়োজনে ১১৪টি দেশের শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের বিজয়ী শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট