ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“আলোচনায় বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আলোচনায় বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক|

গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দলীয় এক ফোরামে বলেছিলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে জামায়াত নেই।

তবে গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগের গণসমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবিসহ বিএনপির ১০ দফা ঘোষণাকে তাৎক্ষণিক সমর্থন দিয়ে নিজেরাও ১০ দফা এবং যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করে জামায়াত। এ ঘোষণার তিন দিন পর সোমবার গভীর রাতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে জামায়াত ও বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

জামায়াত ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ১০ দফা তুলে ধরে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। দলটির এ আন্দোলনকে সমর্থন জানায় ২০-দলীয় জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চ, ডান-বামসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল। এ তালিকায় জামায়াতও আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে তাদের নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এটি জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে কেন বিএনপিকে টেনে আনা হচ্ছে, সেটিই তো বুঝতে পারছি না।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জোটবদ্ধ নয়; যুগপৎ আন্দোলন হবে। ১৯৯০ সালে তিন জোটের সঙ্গে স্বৈরাচারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন করেছে জামায়াত। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে জামায়াত। এবারও একই ধাঁচে আন্দোলন হবে।’ তবে বিএনপির কর্মসূচিতে জামায়াতের কেউ প্রতিনিধিত্ব করবে না বলে জানান টুকু।

বিএনপি নেতাদের সূত্রে জানা যায়, সরকার দেশে ও বিদেশে ‘বিএনপি জামায়াত’কে নিয়ে একটি ব্র্র্যান্ডিং করার চেষ্টা করছিল। এখন আর তা কাজে আসছে না। পশ্চিমাবিশ্বও বুঝে গেছে বিএনপি একটি মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক দল। সরকার ‘বিএনপি-জামায়াত’ তকমা দেওয়ার যে চেষ্টা ছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর থেকে এককভাবে কর্মসূচি করে আসছে বিএনপি। এ কারণে ২০-দলীয় জোটকে আর সক্রিয় করা হয়নি।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগে এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছিলেন, ‘আজ আমি প্রায়ই শুনি- আওয়ামী লীগের কাছে বুলি হয়ে গেছে, সস্তা ব্যবসা হয়ে গেছে। কী? বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। আমি বলছি, এখন সময়ে এসেছে আওয়ামী-জামায়াত, আওয়ামী-জামায়াত বলার। বিএনপি ভালো। আমাদের বলা হয়েছে বিএনপি-জামায়াত। আর যখন আপনারা বললেন, যুদ্ধ অপরাধী… আমিও স্বীকার করি। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন, আপনি তাদের বেআইনি ঘোষণা করলেন না কেন? তার অর্থ আওয়ামী লীগ জামায়াতের ফাঁদে পড়েছে…। তাই বাতিল করে নাই। আজ থেকে আওয়ামী-জামায়াত হবে, বিএনপি-জামায়াত আর হবে না।’

বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সূত্রে জানা যায়, এ অবস্থায় চলতি বছরে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি নেতারা বৈঠক করে ‘সমঝোতা’ করে ‘আলাদা’ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সমঝোতার অংশ হিসেবে গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ থেকে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিলে তাতে জামায়াত সমর্থন দেয়। তবে ২০-দলীয় জোটকে নিষ্ক্রিয় রেখেই রাজপথে দুই দলের কর্মকা- পরিচালিত হবে। এই সমর্থন দেওয়ার তিন দিন পর রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে গত সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার হন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

এ ঘটনায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, সরকার এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দেশে চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। ভয়ভীতি দেখিয়ে, মামলা-হামলা দিয়ে জনগণের এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।

সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন দলের নেতারা বলেন, জামায়াতসহ জোটের কারও সহযোগিতা ছাড়া বিএনপি এককভাবে বড় গণসমাবেশ করেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আরেকটি দিক হচ্ছে, বিএনপি সরকারের উসকানির ফাঁদে পা দেয়নি। এসব নেতা দাবি করেন, এতদিন জামায়াত-বিএনপির সম্পর্কের রঙ লাগিয়ে ক্ষমতাসীনদের যে রাজনৈতিক প্রচার ছিল, সেটি এখন ভেঙে গেছে।

বিএনপি নেতারা বলেন, এখন বিএনপির সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তাদের এ জনসমর্থনের আরও বিস্তার ঘটানো। সাম্প্রতিক সময়ে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বৈশ্বিক বিস্তার ঘটছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসকদের মিলন বিশ্বে কর্তৃত্ববাদের প্রভাব আরও বাড়ার আভাস লক্ষণীয়। এসব বিষয়ও তাদের নজরে রাখতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণায় খুব বেশি সমস্যা মনে করছেন না গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জামায়াতকে নিয়ে কর্মসূচি পালনের কথা তারা কখনো বলেননি। তবে জামায়াত যদি তাদের ঘোষিত কর্মসূচির মতো কর্মসূচি নেয়, তা হলে তো নিষেধ করা যাবে না। এটি তাদের দলীয় ব্যাপার। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক বিষয়ে তারা বলেন, এটিও বিএনপির একান্ত বিষয়।

জামায়াত ইস্যুতে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে তারা সাধুবাদ জানাবেন। জামায়াতও যদি দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে তাদের মতো করে রাজপথে থাকে, তাতে তিনি দোষের কিছু দেখছেন না।

এগিয়ে আনা হচ্ছে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি

আগামী ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। এই দিন রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন থাকায় কর্মসূচি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন যুগপৎ আন্দোলনের জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ঠিক করবে। বিএনপি কোনো অবস্থায় সংঘাতে জড়াতে চাই না। সে কারণেই ২৪ ডিসেম্বরের গণমিছিল এগিয়ে আনবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“আলোচনায় বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক”

প্রকাশের সময় : ০৫:১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আলোচনায় বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক|

গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দলীয় এক ফোরামে বলেছিলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটে জামায়াত নেই।

তবে গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগের গণসমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবিসহ বিএনপির ১০ দফা ঘোষণাকে তাৎক্ষণিক সমর্থন দিয়ে নিজেরাও ১০ দফা এবং যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করে জামায়াত। এ ঘোষণার তিন দিন পর সোমবার গভীর রাতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে জামায়াত ও বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

জামায়াত ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ১০ দফা তুলে ধরে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। দলটির এ আন্দোলনকে সমর্থন জানায় ২০-দলীয় জোট ও গণতন্ত্র মঞ্চ, ডান-বামসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল। এ তালিকায় জামায়াতও আছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে তাদের নিজস্ব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এটি জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে কেন বিএনপিকে টেনে আনা হচ্ছে, সেটিই তো বুঝতে পারছি না।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জোটবদ্ধ নয়; যুগপৎ আন্দোলন হবে। ১৯৯০ সালে তিন জোটের সঙ্গে স্বৈরাচারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন করেছে জামায়াত। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে জামায়াত। এবারও একই ধাঁচে আন্দোলন হবে।’ তবে বিএনপির কর্মসূচিতে জামায়াতের কেউ প্রতিনিধিত্ব করবে না বলে জানান টুকু।

বিএনপি নেতাদের সূত্রে জানা যায়, সরকার দেশে ও বিদেশে ‘বিএনপি জামায়াত’কে নিয়ে একটি ব্র্র্যান্ডিং করার চেষ্টা করছিল। এখন আর তা কাজে আসছে না। পশ্চিমাবিশ্বও বুঝে গেছে বিএনপি একটি মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক দল। সরকার ‘বিএনপি-জামায়াত’ তকমা দেওয়ার যে চেষ্টা ছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর থেকে এককভাবে কর্মসূচি করে আসছে বিএনপি। এ কারণে ২০-দলীয় জোটকে আর সক্রিয় করা হয়নি।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগে এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছিলেন, ‘আজ আমি প্রায়ই শুনি- আওয়ামী লীগের কাছে বুলি হয়ে গেছে, সস্তা ব্যবসা হয়ে গেছে। কী? বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। আমি বলছি, এখন সময়ে এসেছে আওয়ামী-জামায়াত, আওয়ামী-জামায়াত বলার। বিএনপি ভালো। আমাদের বলা হয়েছে বিএনপি-জামায়াত। আর যখন আপনারা বললেন, যুদ্ধ অপরাধী… আমিও স্বীকার করি। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন, আপনি তাদের বেআইনি ঘোষণা করলেন না কেন? তার অর্থ আওয়ামী লীগ জামায়াতের ফাঁদে পড়েছে…। তাই বাতিল করে নাই। আজ থেকে আওয়ামী-জামায়াত হবে, বিএনপি-জামায়াত আর হবে না।’

বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সূত্রে জানা যায়, এ অবস্থায় চলতি বছরে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি নেতারা বৈঠক করে ‘সমঝোতা’ করে ‘আলাদা’ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সমঝোতার অংশ হিসেবে গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ থেকে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিলে তাতে জামায়াত সমর্থন দেয়। তবে ২০-দলীয় জোটকে নিষ্ক্রিয় রেখেই রাজপথে দুই দলের কর্মকা- পরিচালিত হবে। এই সমর্থন দেওয়ার তিন দিন পর রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে গত সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার হন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

এ ঘটনায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, সরকার এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দেশে চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। ভয়ভীতি দেখিয়ে, মামলা-হামলা দিয়ে জনগণের এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না।

সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন দলের নেতারা বলেন, জামায়াতসহ জোটের কারও সহযোগিতা ছাড়া বিএনপি এককভাবে বড় গণসমাবেশ করেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আরেকটি দিক হচ্ছে, বিএনপি সরকারের উসকানির ফাঁদে পা দেয়নি। এসব নেতা দাবি করেন, এতদিন জামায়াত-বিএনপির সম্পর্কের রঙ লাগিয়ে ক্ষমতাসীনদের যে রাজনৈতিক প্রচার ছিল, সেটি এখন ভেঙে গেছে।

বিএনপি নেতারা বলেন, এখন বিএনপির সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তাদের এ জনসমর্থনের আরও বিস্তার ঘটানো। সাম্প্রতিক সময়ে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বৈশ্বিক বিস্তার ঘটছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসকদের মিলন বিশ্বে কর্তৃত্ববাদের প্রভাব আরও বাড়ার আভাস লক্ষণীয়। এসব বিষয়ও তাদের নজরে রাখতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণায় খুব বেশি সমস্যা মনে করছেন না গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জামায়াতকে নিয়ে কর্মসূচি পালনের কথা তারা কখনো বলেননি। তবে জামায়াত যদি তাদের ঘোষিত কর্মসূচির মতো কর্মসূচি নেয়, তা হলে তো নিষেধ করা যাবে না। এটি তাদের দলীয় ব্যাপার। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক বিষয়ে তারা বলেন, এটিও বিএনপির একান্ত বিষয়।

জামায়াত ইস্যুতে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে তারা সাধুবাদ জানাবেন। জামায়াতও যদি দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে তাদের মতো করে রাজপথে থাকে, তাতে তিনি দোষের কিছু দেখছেন না।

এগিয়ে আনা হচ্ছে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি

আগামী ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। এই দিন রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন থাকায় কর্মসূচি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন যুগপৎ আন্দোলনের জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ঠিক করবে। বিএনপি কোনো অবস্থায় সংঘাতে জড়াতে চাই না। সে কারণেই ২৪ ডিসেম্বরের গণমিছিল এগিয়ে আনবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট