ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“জাতীয় পার্টি বিরোধী দল বিএনপি চলে গেলে কিছু যায় আসে না”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || জাতীয় পার্টি বিরোধী দল বিএনপি চলে গেলে কিছু যায় আসে না|

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইতোপূর্বে বিএনপি ছাড়াও সংসদ পরিচালিত হয়েছে। সংসদে বিএনপি বিরোধী দল নয়। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। কাজেই বিএনপি সংসদে আসলো কি গেল তাতে কিছু যায় আসে না।

তিনি বলেন, সাত এমপি না থাকলে এক বছরে দেশ ভেঙে পড়বে না। দেশ এইভাবে এগিয়ে যাবে। এমনি উপনির্বাচনেও তারা আসে না। তাহলে আমরা তাদের কিভাবে সহযোগিতা করব। ২০১৮ সালের আগে তারা সংসদে ছিল না। এটা খুবই দুঃখজনক।

রোববার বিকালে টাঙ্গাইলের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি দেশের রাজনীতিতে বিরোধী দল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কেচির দুটি বাহু থাকে। হাঁটতে দুটো পা লাগে। তেমনি সংসদেও দুটি দল লাগে। তাই বিরোধী দল থাকা দরকার। সেখানে কেউ যদি না থাকে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। তার পরেও সংসদে জাতীয় পার্টি রয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টি রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। উপনেতা হচ্ছেন জিএম কাদের। তাতেই কোনো সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই। বিরোধী দল নেতারা তো বিএনপির নেতারা নয়। তাদের ৫-৭ জনের একটা গ্রুপ ছিল।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের হুমকি দিলেও তা আর বাস্তবায়ন করতে পারেন না। এক সময় বলেন- ঈদের পর আন্দোলন করবেন আবার বলেন- পূজার পর আন্দোলন করবেন। মূল কথা তারা কখন আন্দোলন করবেন তা তারা নিজেরাও জানেন না।

তিনি বলেন, বিএনপি কি চাইলো, কি চাইলো না, সেই অনুযায়ী দেশ চলবে না। দেশ চলবে পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার জননেত্রী শেখ হাসিনারও কোনো সুযোগ বা ক্ষমতা নেই।

তিনি বলেন, তারা আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে। রেল লাইন উপড়ে ফেলে। আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দিবে। আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের সাধারণ জনগণ। সাধারণ মানুষই আওয়ামী লীগের মূল হাতিয়ার।

তিনি আও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের মানুষের জন্য খুব আনন্দের ও গৌরবের। কারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৬ মার্চ আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি। দীর্ঘদিন যুদ্ধের পর ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রু ও হানাদার মুক্ত হয়ে বিজয় আসে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ।

পরে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জেলা আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার উদ্যোগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর।

এর আগে টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“জাতীয় পার্টি বিরোধী দল বিএনপি চলে গেলে কিছু যায় আসে না”

প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || জাতীয় পার্টি বিরোধী দল বিএনপি চলে গেলে কিছু যায় আসে না|

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইতোপূর্বে বিএনপি ছাড়াও সংসদ পরিচালিত হয়েছে। সংসদে বিএনপি বিরোধী দল নয়। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। কাজেই বিএনপি সংসদে আসলো কি গেল তাতে কিছু যায় আসে না।

তিনি বলেন, সাত এমপি না থাকলে এক বছরে দেশ ভেঙে পড়বে না। দেশ এইভাবে এগিয়ে যাবে। এমনি উপনির্বাচনেও তারা আসে না। তাহলে আমরা তাদের কিভাবে সহযোগিতা করব। ২০১৮ সালের আগে তারা সংসদে ছিল না। এটা খুবই দুঃখজনক।

রোববার বিকালে টাঙ্গাইলের সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি দেশের রাজনীতিতে বিরোধী দল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কেচির দুটি বাহু থাকে। হাঁটতে দুটো পা লাগে। তেমনি সংসদেও দুটি দল লাগে। তাই বিরোধী দল থাকা দরকার। সেখানে কেউ যদি না থাকে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। তার পরেও সংসদে জাতীয় পার্টি রয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টি রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। উপনেতা হচ্ছেন জিএম কাদের। তাতেই কোনো সমস্যা হওয়ার সুযোগ নেই। বিরোধী দল নেতারা তো বিএনপির নেতারা নয়। তাদের ৫-৭ জনের একটা গ্রুপ ছিল।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের হুমকি দিলেও তা আর বাস্তবায়ন করতে পারেন না। এক সময় বলেন- ঈদের পর আন্দোলন করবেন আবার বলেন- পূজার পর আন্দোলন করবেন। মূল কথা তারা কখন আন্দোলন করবেন তা তারা নিজেরাও জানেন না।

তিনি বলেন, বিএনপি কি চাইলো, কি চাইলো না, সেই অনুযায়ী দেশ চলবে না। দেশ চলবে পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার জননেত্রী শেখ হাসিনারও কোনো সুযোগ বা ক্ষমতা নেই।

তিনি বলেন, তারা আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে। রেল লাইন উপড়ে ফেলে। আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দিবে। আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের সাধারণ জনগণ। সাধারণ মানুষই আওয়ামী লীগের মূল হাতিয়ার।

তিনি আও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের মানুষের জন্য খুব আনন্দের ও গৌরবের। কারণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৬ মার্চ আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি। দীর্ঘদিন যুদ্ধের পর ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রু ও হানাদার মুক্ত হয়ে বিজয় আসে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ।

পরে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জেলা আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার উদ্যোগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে আয়োজিত টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর।

এর আগে টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট