ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ এস আই সুব্রত দাস ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিল তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন ইউটিউব দেখে এটিএম বুথ লুটের পরিকল্পনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশির যুবকের

নবীনগরে প্রথমবারের মতো মাদরাসায় স্থাপিত হলো শহীদ মিনার

মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রতিদিনের পোস্ট.কম
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৬১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রতিদিনের পোস্ট.কম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সুফিয়াবাদ শাহ্ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ্ (রঃ) ফাজিল মাদরাসার নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে শহীদ মিনার উদ্বোধনের পর মাদ্রাসা অডিটোরিয়ামে এ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার অধ‍্যক্ষ মুফতি মোঃ এনামুল হক কুতুবীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোছা। মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আনোয়ার হোসাইন এর সঞ্চালনায় শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইব্রাহীম খলিল। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ বেলাল হোসাইন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোঃ এনামুল হক কুতুবী বলেন মাদ্রাসা পর্যায়ে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগের প্রথমে আমাদের মাদ্রাসাকে বাছাই করেছেন। লাল সবুজ দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণীয় একটি শহীদ মিনার তিনি তৈরি করেছেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। এই কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। শহীদ মিনার স্থাপনের পর পরই শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হয়েছে।

১৯৮৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহীমপুরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছি সুফিয়াবাদ শাহ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (র.) ফাজিল মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থী রয়েছে ১২ শতাধিক। প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরেও এই মাদ্রাসায় শহীদ দিবস, মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কোন প্রকার শহীদ মিনার ছিল না। অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে বিভিন্ন দিবস উদযাপিত হয়ে আসছিল। অবশেষে প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পর মাদ্রাসায় স্থায়ীভাবে স্থাপিত হলো শহীদ মিনার। গতকাল সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক। এরফলে প্রথমবারের মতো উপজেলার কোন মাদ্রাসায় স্থাপিত হলো শহীদ মিনার।

এর মাধ্যমে নবীনগর উপজেলায় সকল মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন দেশ প্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারে, তাই মাদ্রাসার শিক্ষকদের আন্তরিক অনুরোধে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ১৯৫২ সালে সালাম, রফিক ও জব্বররা বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করেছে। বাংলা আমার মাতৃ ভাষা। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মাদ্রাসায় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা আরবি শিক্ষায় ভাল থাকে। অনেকে বাংলায় দূর্বল থাকে, অনেকে নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য জানে না। তাই নিজের অস্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের অবদান মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জানাতে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। উপজেলায় এটি প্রথম কোন মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপিত হবে।

এছাড়াও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সহ এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সদস‍্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

নবীনগরে প্রথমবারের মতো মাদরাসায় স্থাপিত হলো শহীদ মিনার

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রতিদিনের পোস্ট.কম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সুফিয়াবাদ শাহ্ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ্ (রঃ) ফাজিল মাদরাসার নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে শহীদ মিনার উদ্বোধনের পর মাদ্রাসা অডিটোরিয়ামে এ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার অধ‍্যক্ষ মুফতি মোঃ এনামুল হক কুতুবীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোছা। মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আনোয়ার হোসাইন এর সঞ্চালনায় শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইব্রাহীম খলিল। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ বেলাল হোসাইন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোঃ এনামুল হক কুতুবী বলেন মাদ্রাসা পর্যায়ে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগের প্রথমে আমাদের মাদ্রাসাকে বাছাই করেছেন। লাল সবুজ দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণীয় একটি শহীদ মিনার তিনি তৈরি করেছেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। এই কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। শহীদ মিনার স্থাপনের পর পরই শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হয়েছে।

১৯৮৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহীমপুরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছি সুফিয়াবাদ শাহ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (র.) ফাজিল মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থী রয়েছে ১২ শতাধিক। প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরেও এই মাদ্রাসায় শহীদ দিবস, মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কোন প্রকার শহীদ মিনার ছিল না। অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে বিভিন্ন দিবস উদযাপিত হয়ে আসছিল। অবশেষে প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পর মাদ্রাসায় স্থায়ীভাবে স্থাপিত হলো শহীদ মিনার। গতকাল সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক। এরফলে প্রথমবারের মতো উপজেলার কোন মাদ্রাসায় স্থাপিত হলো শহীদ মিনার।

এর মাধ্যমে নবীনগর উপজেলায় সকল মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন দেশ প্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারে, তাই মাদ্রাসার শিক্ষকদের আন্তরিক অনুরোধে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ১৯৫২ সালে সালাম, রফিক ও জব্বররা বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করেছে। বাংলা আমার মাতৃ ভাষা। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মাদ্রাসায় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা আরবি শিক্ষায় ভাল থাকে। অনেকে বাংলায় দূর্বল থাকে, অনেকে নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য জানে না। তাই নিজের অস্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের অবদান মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জানাতে শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। উপজেলায় এটি প্রথম কোন মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপিত হবে।

এছাড়াও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সহ এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সদস‍্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট