ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলাশে সরিষার বাম্পার ফলন” স্বপ্ন জয়ের পথে কৃষক

নাসিম আজাদ,পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি প্রতিদিনের পোস্ট

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সরিষা চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন যেন আজ পুরোন হতে চলেছে। মাঠ জুড়ে হলুদ রং ছাড়িয়ে সবুজের হাসি আবার কোথাও বাদমী রঙের উজ্জ্বল ঝিলিক। এবার যেন স্বপ্ন জয়ের পথে আশায় বুক বাধছে কৃষক।

কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় পলাশে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সরষা চাষ।সরিষার দানা গুলোও খুবই পুষ্ট হয়েছে। এবছর রবি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অধিক ফলন পাওয়ার আশাবাদ কৃষকদের।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কৃষক এই ফসল চাষে ঝুঁকেছেন।সরিষা তোলার পর একই জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে।

সরিষা বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়।যেহেতু বেলে ধরনের মাটিতে সেচ দেওয়ার পর পানি চুইয়ে নিচে চলে যায় এবং এসময় পানির সাথে বেশকিছু খাদ্যোপাদানও নিচে চলে যায়। এসবের মধ্যে বোরন অন্যতম।
পলাশে_সরিষার_বাম্পার_ফলন"_স্বপ্ন_জয়ের_পথে_কৃষক
সরিষা চাষে প্রচুর রোদ,কম তাপমাত্রা ও জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা পয়োজন।তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও মাটিতে রসের অভাব হলে দানার আকার ছোট হয়, যার কারণে তেলের পরিমাণও কমে যায়। এজন্য বাংলাদেশে রবি মৌসুমেই সরিষার চাষ করা হয়।
পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ করা হয়েছে ৯৫হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ হেক্টর বেশি। উপজেলার গজারিয়া, চরসিন্দুর ও জিনারদী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ করা হয়।
পলাশে_সরিষার_বাম্পার_ফলন"_স্বপ্ন_জয়ের_পথে_কৃষক
উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের আবছার উূ্দীন মৃধা  জানান,এক বিঘা সরিষা চাষে খরচ হয় ১হাজার থেকে ১৫শ টাকার টাকার মতো। ফলন পাওয়া যায় ৫থেকে ৭মন।যার প্রতিমন সরিষার বাজার মূল্য ৮শ থেকে ৯শ টাকা।
খাসহাওলা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন,এবার প্রায় ১০০ শতাংশ বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি ফলনও খুব ভালো হয়েছে। দানা বড়োসরো, গত বছরের চেয়ে বেশি পাবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরিষা চাষে কৃষকেরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে তা অত্যান্ত ইতিবাচক। এটি কৃষিখাতে সরকারের আরও একটি সাফল্য। দেশি জাতের সরিষা ৬০থেকে ৭০ দিনে এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা উঠতে সময় লাগে ৭৫থেকে ৮০দিন।তিনি আরও বলেন,সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানি নির্বরতা কমে যাবে।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

পলাশে সরিষার বাম্পার ফলন” স্বপ্ন জয়ের পথে কৃষক

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সরিষা চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন যেন আজ পুরোন হতে চলেছে। মাঠ জুড়ে হলুদ রং ছাড়িয়ে সবুজের হাসি আবার কোথাও বাদমী রঙের উজ্জ্বল ঝিলিক। এবার যেন স্বপ্ন জয়ের পথে আশায় বুক বাধছে কৃষক।

কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় পলাশে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সরষা চাষ।সরিষার দানা গুলোও খুবই পুষ্ট হয়েছে। এবছর রবি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অধিক ফলন পাওয়ার আশাবাদ কৃষকদের।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কৃষক এই ফসল চাষে ঝুঁকেছেন।সরিষা তোলার পর একই জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে।

সরিষা বেলে বা দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়।যেহেতু বেলে ধরনের মাটিতে সেচ দেওয়ার পর পানি চুইয়ে নিচে চলে যায় এবং এসময় পানির সাথে বেশকিছু খাদ্যোপাদানও নিচে চলে যায়। এসবের মধ্যে বোরন অন্যতম।
পলাশে_সরিষার_বাম্পার_ফলন"_স্বপ্ন_জয়ের_পথে_কৃষক
সরিষা চাষে প্রচুর রোদ,কম তাপমাত্রা ও জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা পয়োজন।তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও মাটিতে রসের অভাব হলে দানার আকার ছোট হয়, যার কারণে তেলের পরিমাণও কমে যায়। এজন্য বাংলাদেশে রবি মৌসুমেই সরিষার চাষ করা হয়।
পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ করা হয়েছে ৯৫হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ হেক্টর বেশি। উপজেলার গজারিয়া, চরসিন্দুর ও জিনারদী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ করা হয়।
পলাশে_সরিষার_বাম্পার_ফলন"_স্বপ্ন_জয়ের_পথে_কৃষক
উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের আবছার উূ্দীন মৃধা  জানান,এক বিঘা সরিষা চাষে খরচ হয় ১হাজার থেকে ১৫শ টাকার টাকার মতো। ফলন পাওয়া যায় ৫থেকে ৭মন।যার প্রতিমন সরিষার বাজার মূল্য ৮শ থেকে ৯শ টাকা।
খাসহাওলা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন,এবার প্রায় ১০০ শতাংশ বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি ফলনও খুব ভালো হয়েছে। দানা বড়োসরো, গত বছরের চেয়ে বেশি পাবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদের এস এ সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরিষা চাষে কৃষকেরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে তা অত্যান্ত ইতিবাচক। এটি কৃষিখাতে সরকারের আরও একটি সাফল্য। দেশি জাতের সরিষা ৬০থেকে ৭০ দিনে এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা উঠতে সময় লাগে ৭৫থেকে ৮০দিন।তিনি আরও বলেন,সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানি নির্বরতা কমে যাবে।