ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিতার লালসার স্বীকার কিশোরী ৩মাসের অন্তঃসত্ত্বা

আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জন্মদাতা পিতার লালসার স্বীকার কিশোরী ৩মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দিনের পর দিন পিতার লালসার স্বীকার হলেও প্রাণ হারানোর ভয়ে কাউকে জানাতে পারেনি কিশোরী। এঘটনা ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামে। ঘটনা জানাজানি হলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযুক্ত পিতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন(৪৫) সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ইলিয়ার হোসেনের মেয়ে তাসলিমার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আলতাফ হোসের শ্বশুরবাড়ি চিৎলা গ্রামে বসবাস করে আসছে। আলতাফ হোসেন ও তাসলিমা দম্পতির দুই মেয়ে।

এলাকাবাসী জানায়, গত ২২ দিন পূর্বে আলতাফ হোসেনের কিশোরী মেয়েকে পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামে সজিব হোসেন নামের একটি ছেলে সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পরই ওই কিশোরীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা কিশোরীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। তারা ওই কিশোরীর কাছে জানতে চাই তার গর্ভের সন্তান কার? কিশোরী জানায় তার জন্মদাতা পিতা প্রায় ৩/৪ মাস ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। তার মা বাড়িতে না থাকলে সেই সুযোগ নিয়ে তাকে তার পিতা ধর্ষণ করে।

গাংনী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু জানান, ৬ মার্চ রাতে এঘটনা জানাজানি হয়। ওই কিশোরীর নিকট ঘটনা জানতে চাইলে সে জানায় তার পিতাই তাকে জোরপূর্বক এ কাজ করেছে। পরে এঘটনা আমি উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে জানায়। রাতেই আসমানখালী ক্যাম্প পুলিশের এসআই নওশাদ আহমেদ ও এএসআই আলতাফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করে।

কিশোরীর মামা সম্রাট জানায়, আমার বোনের সাথে আলতাফের বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমাদের গ্রামেই তারা বসবাস করে। তাদের দুইটি মেয়ে রয়েছে। আমার বোন বাড়িতে না থাকলে আলতাফ হোসেন তার বড় মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। কয়েক মাস ধরে এ ধরণের কাজ করে আসছে। ভয়ে আমার ভাগ্নি কাউকে জানায়নি। প্রায় ২২ দিন পূর্বে পার্শ্ববর্তী নান্দবার গ্রামে ভাগ্নিকে বিয়ে দিই। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। আমার ভাগ্নিকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাদের গ্রামে আসলে আমরা ঘটনা জানতে পারি। ভাগ্নির নিকট ঘটনা জানতে চাইলে সে জানায় তার পিতায় কয়েক মাস ধরে এমন করে আসছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

পিতার লালসার স্বীকার কিশোরী ৩মাসের অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জন্মদাতা পিতার লালসার স্বীকার কিশোরী ৩মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দিনের পর দিন পিতার লালসার স্বীকার হলেও প্রাণ হারানোর ভয়ে কাউকে জানাতে পারেনি কিশোরী। এঘটনা ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামে। ঘটনা জানাজানি হলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযুক্ত পিতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন(৪৫) সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ইলিয়ার হোসেনের মেয়ে তাসলিমার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আলতাফ হোসের শ্বশুরবাড়ি চিৎলা গ্রামে বসবাস করে আসছে। আলতাফ হোসেন ও তাসলিমা দম্পতির দুই মেয়ে।

এলাকাবাসী জানায়, গত ২২ দিন পূর্বে আলতাফ হোসেনের কিশোরী মেয়েকে পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামে সজিব হোসেন নামের একটি ছেলে সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পরই ওই কিশোরীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা কিশোরীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। তারা ওই কিশোরীর কাছে জানতে চাই তার গর্ভের সন্তান কার? কিশোরী জানায় তার জন্মদাতা পিতা প্রায় ৩/৪ মাস ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। তার মা বাড়িতে না থাকলে সেই সুযোগ নিয়ে তাকে তার পিতা ধর্ষণ করে।

গাংনী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু জানান, ৬ মার্চ রাতে এঘটনা জানাজানি হয়। ওই কিশোরীর নিকট ঘটনা জানতে চাইলে সে জানায় তার পিতাই তাকে জোরপূর্বক এ কাজ করেছে। পরে এঘটনা আমি উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে জানায়। রাতেই আসমানখালী ক্যাম্প পুলিশের এসআই নওশাদ আহমেদ ও এএসআই আলতাফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করে।

কিশোরীর মামা সম্রাট জানায়, আমার বোনের সাথে আলতাফের বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমাদের গ্রামেই তারা বসবাস করে। তাদের দুইটি মেয়ে রয়েছে। আমার বোন বাড়িতে না থাকলে আলতাফ হোসেন তার বড় মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। কয়েক মাস ধরে এ ধরণের কাজ করে আসছে। ভয়ে আমার ভাগ্নি কাউকে জানায়নি। প্রায় ২২ দিন পূর্বে পার্শ্ববর্তী নান্দবার গ্রামে ভাগ্নিকে বিয়ে দিই। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। আমার ভাগ্নিকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাদের গ্রামে আসলে আমরা ঘটনা জানতে পারি। ভাগ্নির নিকট ঘটনা জানতে চাইলে সে জানায় তার পিতায় কয়েক মাস ধরে এমন করে আসছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।