প্রেমের টানে নোয়াখালীতে মিশরীয় তরুণী
- প্রকাশের সময় : ১০:২৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
- / ২৮৮ বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক নিউজ, প্রতিদিনের পোস্ট || প্রেমের টানে নোয়াখালীতে মিশরীয় তরুণী।
বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের প্রেমের টানে সাত-সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে নিজ দেশ ছেড়ে চলে আসছেন ভিনদেশি তরুণ-তরুণীরা। একজন, দুইজন নয় বরং চলতি বছরে মোট ১০ জন বিদেশি প্রেমিক-প্রেমিকা বাংলাদেশে এসেছেন। তন্মধ্যে ৭ জন তরুণী ও ৩ জন তরুণ।
তাদের প্রত্যেকে আমাদের দেশের চেয়ে উন্নত দেশের নাগরিক। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রেমিক পুরুষ প্রেমের টানে সম্প্রতি গাজীপুরে এসে বিয়ে করেন। এছাড়াও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলেছে বেলারুশের মেয়ে ও লক্ষ্মীপুরর ছেলে হাবিব-নাতালিয়ার প্রেম কাহিনী।এবার নোয়াখালীতেও প্রেমের টানে আসলেন মিশরীয় সুন্দরী নারী দালিয়া(২১)।
জানা যায়,নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা নবীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুরের চান মিয়া হাজি বাড়ী গোলাম সারোয়ারের বাবুর(২৮) প্রেমের টানে মিশর থেকে দালিয়া নামের ওই সুন্দরী নারী গতকাল সন্ধ্যায় নোয়াখালীতে আসছেন।প্রেমিক গোলাম সারোয়ার বাবু মিশরে দালিয়াদের বাসায় পাশেই কাজ করতো।চোখাচোখি একপর্যায়ে প্রেম পরে বিয়ে করেন এই দম্পতি।
বিয়ের দুই বছর পর মিশর থেকে এই সুন্দরী নারী আসছেন বলে জানান বাবুর পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। মিশরীয় ওই সুন্দরী নারীকে দেখার জন্য এলাকাবাসী ভিড় করছেন বাবুদের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের প্রেমিকার কাছে নোয়াখালীর তরুণী, এলাকায় চাঞ্চল্য
প্রেম মানে না কোনো জাত-পাত, বাধা-বিপত্তি। মানে না কোনো শাসন-বারণ। সেজন্যই কিনা ভালোবাসার টানে টাঙ্গাইলে থাকা প্রেমিকার কাছে (অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হয়নি) ছুটে এসেছেন নোয়াখালীর বিলকিস। তাতে এলাকায়জুড়ে দেখা গিয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গেছে, ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এরপর দীর্ঘদিন কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। জড়িয়ে পড়েন ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে। তিন মাস আগে দু’জনে একসাথে ঘরও ছেড়েছিলেন একে অপরকে ভালোবেসে। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয় তারা। এবার আরও বেপরোয়া তারা।
বিলকিস বলেন, আমি পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না, তাই বাড়ি থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন তার পরিবার না মানলে আমরা দু’জনে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করবো।
বিলকিসের অপ্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিকার ভাষ্য, বিলকিসের সাথে ফেসবুকে পরিচয়। তারপর থেকে আমরা দু’জনে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। এখন বিলকিস আমার কাছে এসেছে। আমি তাকে আর যেতে দিবো না।
এলাকাবাসী বলছেন, এমন ঘটনা কখনো দেখেননি তারা। বিষয়টি আসলেই অবাক করার মতো। টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের শিক্ষক বি এম দিপক পাল বলেন, সব সময় যে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ থাকবে তা নয়। তাদের দু’জনের মাঝে সাময়িক একটা বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। এটি পরিবর্তনও হতে পারে।