ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“বিএনপির ১০ দফা নিয়ে যা বললেন ইনু-শিরীন”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || বিএনপির ১০ দফা নিয়ে যা বললেন ইনু-শিরীন|

গতকাল (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির ঢাকার সমাবেশ থেকে দলটির ঘোষিত ১০ দফা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।

রোববার এক বিবৃতিতে হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার বলেছেন, ‘বিএনপির ১০ দফা সংবিধান, আইন, আদালতের কবর দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জংলি সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাস, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পক্ষাবলম্বনের কালো দলিল।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, ১০ দফা দিয়ে বিএনপি আবারো প্রমাণ করল যে, তারা দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জংলি সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির পথই আঁকড়ে ধরে আছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিচার বন্ধ করা। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের মুক্ত করা। বিএনপি সংবিধান, আইন, আদালত কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করে না।

জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কোনোভাবে আলেম, ওলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক বন্দি নেই। যুদ্ধাপরাধ ও জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রকাশ্য আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সে সাজা নিশ্চিত হয়ে যারা বন্দি আছে তারা কেউই প্রকৃত আলেম-ওলামা, ইসলামি চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক নয়। তারা ধর্মের অপব্যবহারকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। কোনো যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা ধর্মের মনগড়া ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা দিয়ে ওয়াজ করলেই আলেম বা নিরপরাধী হয়ে যায় না। দেশের কেউই আইন আদালতের ঊর্ধ্বে না, মসজিদের ইমাম বা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক নেতাও আইন আদালতে ঊর্ধ্বে না।

তারা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সুনির্দিষ্ট রায়ের পর বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত করে পুরাতন ধাচের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কোনোই সুযোগ নেই। তারপরও পুরাতন ধাচের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, আরপিও বাতিল করার দাবি তুলে বিএনপি সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সংঘাত-সংঘর্ষের মাধ্যমে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে জল ঘোলা করার পথে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছে।

জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ক্ষমতা পুনঃদখলের আন্দোলনের ১০ দফায় চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে জাতীয় অর্থনীতি সচল রাখা, মানুষের আয় ও জীবিকা রক্ষাসহ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখার কোনো প্রস্তাব নেই। বিএনপির সময় দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, পানির দাম অযোক্তিকভাবে বাড়িয়েছিল। বিএনপি নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতেও পারেনি, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়াতে পারেনি।

তারা বলেন, বিএনপির আমলেই রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক চালু এবং পরিচালক নিয়োগ শুরু হয়। দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত বিএনপির চালু করা দুষ্ট চক্রের অশুভ প্রভাব থেকে এখনো মুক্ত হতে পারছে না। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় ছিল ততবারই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ইনডেমনিটি দিয়েছে। বিএনপির আমলে বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীগুলোকে হাওয়া ভবনের অধিনস্থ করা হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিজদের তোলা দাবি যে ভুলে যায়, তার প্রমাণ হলো জিয়া, খালেদা জিয়া, ইয়াজউদ্দিন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করেনি।

ইনু ও শিরীন আখতার তাদের বিবৃতিতে দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জংলি সরকার আনা, যুদ্ধাপরাধ-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাস-দুর্নীতির অপরাধের বিচার বন্ধ, সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী-দুর্নীতিবাজদের মুক্ত করা এবং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত ও এদের রাজনৈতিক পার্টনারদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং বাংলাদেশ বিরোধী এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য জাসদ ও ১৪ দলসহ দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব ব্যক্তি, মহল, গোষ্ঠী এবং শক্তির প্রতি আহ্বান জানান।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“বিএনপির ১০ দফা নিয়ে যা বললেন ইনু-শিরীন”

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || বিএনপির ১০ দফা নিয়ে যা বললেন ইনু-শিরীন|

গতকাল (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির ঢাকার সমাবেশ থেকে দলটির ঘোষিত ১০ দফা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।

রোববার এক বিবৃতিতে হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার বলেছেন, ‘বিএনপির ১০ দফা সংবিধান, আইন, আদালতের কবর দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জংলি সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাস, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পক্ষাবলম্বনের কালো দলিল।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, ১০ দফা দিয়ে বিএনপি আবারো প্রমাণ করল যে, তারা দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জংলি সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির পথই আঁকড়ে ধরে আছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিচার বন্ধ করা। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের মুক্ত করা। বিএনপি সংবিধান, আইন, আদালত কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করে না।

জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কোনোভাবে আলেম, ওলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক বন্দি নেই। যুদ্ধাপরাধ ও জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রকাশ্য আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সে সাজা নিশ্চিত হয়ে যারা বন্দি আছে তারা কেউই প্রকৃত আলেম-ওলামা, ইসলামি চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক নয়। তারা ধর্মের অপব্যবহারকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। কোনো যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা ধর্মের মনগড়া ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা দিয়ে ওয়াজ করলেই আলেম বা নিরপরাধী হয়ে যায় না। দেশের কেউই আইন আদালতের ঊর্ধ্বে না, মসজিদের ইমাম বা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক নেতাও আইন আদালতে ঊর্ধ্বে না।

তারা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সুনির্দিষ্ট রায়ের পর বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত করে পুরাতন ধাচের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কোনোই সুযোগ নেই। তারপরও পুরাতন ধাচের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, আরপিও বাতিল করার দাবি তুলে বিএনপি সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সংঘাত-সংঘর্ষের মাধ্যমে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে জল ঘোলা করার পথে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছে।

জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ক্ষমতা পুনঃদখলের আন্দোলনের ১০ দফায় চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে জাতীয় অর্থনীতি সচল রাখা, মানুষের আয় ও জীবিকা রক্ষাসহ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখার কোনো প্রস্তাব নেই। বিএনপির সময় দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, পানির দাম অযোক্তিকভাবে বাড়িয়েছিল। বিএনপি নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতেও পারেনি, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়াতে পারেনি।

তারা বলেন, বিএনপির আমলেই রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক চালু এবং পরিচালক নিয়োগ শুরু হয়। দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত বিএনপির চালু করা দুষ্ট চক্রের অশুভ প্রভাব থেকে এখনো মুক্ত হতে পারছে না। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় ছিল ততবারই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ইনডেমনিটি দিয়েছে। বিএনপির আমলে বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীগুলোকে হাওয়া ভবনের অধিনস্থ করা হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিজদের তোলা দাবি যে ভুলে যায়, তার প্রমাণ হলো জিয়া, খালেদা জিয়া, ইয়াজউদ্দিন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করেনি।

ইনু ও শিরীন আখতার তাদের বিবৃতিতে দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জংলি সরকার আনা, যুদ্ধাপরাধ-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাস-দুর্নীতির অপরাধের বিচার বন্ধ, সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী-দুর্নীতিবাজদের মুক্ত করা এবং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত ও এদের রাজনৈতিক পার্টনারদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং বাংলাদেশ বিরোধী এই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য জাসদ ও ১৪ দলসহ দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব ব্যক্তি, মহল, গোষ্ঠী এবং শক্তির প্রতি আহ্বান জানান।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট