ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী শ্রীমঙ্গলের নুরুল!

কৃষি ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ১১১ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ডেস্ক: শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুরের নুরুল ইসলাম তালুকদার স্বাবলম্বী হয়েছেন মাল্টা চাষে। এই উপজেলার পাহাড়ি মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। মাল্টা চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে চাষিদের মধ্যে। মাল্টা চাষে সফল হওয়ায় আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন তিনি।

জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩০০ টি প্রদর্শনী প্লটে মাল্টার চাষ হচ্ছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ১৫ মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে নুরুল ইসলাম তালুকদার দেশি এই মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন। তার বাগানের প্রতিটি গাছে ঝুলছে শত শত মাল্টা। তার সফলতা দেখে অনেকেই নিজ উদ্যোগে মাল্টা চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালে আড়াই একর জমিতে ৭০০টি মাল্টার চারা রোপন করে চাষ শুরু করি। গত বছর ৩৭ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করি। এবছর মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমানে মাল্টা এসেছে।

তিনি আরো বলেন, এবছর মাল্টার যা ফলন এসেছে তাতে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবো।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, আমাদের দেশে ২০০৩ সালে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টার উদ্ভাবন হয়। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার এর চাষ ছড়িয়ে যায়। গোলাকার সবুজ রঙের ফলটি খুব রসালো আর খেতেও সুস্বাদু। এই মাল্টা হেক্টর প্রতি ২০ টন উৎপাদন হয়।

তিনি আরো বলেন, গত ৫ বছরে এখন শ্রীমঙ্গলে প্রদর্শনী প্লটের সংখ্যা ৩০০ টি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরো ১৫ টি মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। মাল্টা চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। আশা করছি আমাদের আর আমদানি নির্ভর থাকতে হবে না।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী শ্রীমঙ্গলের নুরুল!

প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

কৃষি ডেস্ক: শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুরের নুরুল ইসলাম তালুকদার স্বাবলম্বী হয়েছেন মাল্টা চাষে। এই উপজেলার পাহাড়ি মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। মাল্টা চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে চাষিদের মধ্যে। মাল্টা চাষে সফল হওয়ায় আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন তিনি।

জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩০০ টি প্রদর্শনী প্লটে মাল্টার চাষ হচ্ছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ১৫ মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে নুরুল ইসলাম তালুকদার দেশি এই মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন। তার বাগানের প্রতিটি গাছে ঝুলছে শত শত মাল্টা। তার সফলতা দেখে অনেকেই নিজ উদ্যোগে মাল্টা চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালে আড়াই একর জমিতে ৭০০টি মাল্টার চারা রোপন করে চাষ শুরু করি। গত বছর ৩৭ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করি। এবছর মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমানে মাল্টা এসেছে।

তিনি আরো বলেন, এবছর মাল্টার যা ফলন এসেছে তাতে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবো।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, আমাদের দেশে ২০০৩ সালে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টার উদ্ভাবন হয়। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার এর চাষ ছড়িয়ে যায়। গোলাকার সবুজ রঙের ফলটি খুব রসালো আর খেতেও সুস্বাদু। এই মাল্টা হেক্টর প্রতি ২০ টন উৎপাদন হয়।

তিনি আরো বলেন, গত ৫ বছরে এখন শ্রীমঙ্গলে প্রদর্শনী প্লটের সংখ্যা ৩০০ টি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরো ১৫ টি মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। মাল্টা চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। আশা করছি আমাদের আর আমদানি নির্ভর থাকতে হবে না।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ /প্রতিদিনের পোস্ট