ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ নাসার বিজ্ঞানী ড. আবদুস সাত্তার খানের ১৬তম প্রয়াণ দিবস

মো. আলমগীর খন্দকার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৩ বার পড়া হয়েছে

মো. আলমগীর খন্দকার, প্রতিদিনের পোস্ট: আজ ১ফেব্রুয়ারি, নাসার বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. আব্দুস সাত্তার খান এর ১৬তম প্রয়াণ দিবস। যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্বড. আবদুস সাত্তার খান অ্যামেরিকাতেই মারা যান।

বাংলাদেশের বিখ্যাত এই মহাকাশ গবেষক ড. আবদুস সাত্তার খান কর্মজীবনে নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিসের প্র‍্যাট এন্ড হুইটনি এবং অ্যালস্টমে (সুইজারল্যান্ড) কাজ করেছেন।

আব্দুস সাত্তার খান ১৯৪১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। তিনি রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগ থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৩ সালে স্নাতকোত্তর  ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট করতে যান। এরপর তিনি ধাতব  প্রকৌশল নিয়ে গবেষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। তিনি নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস এবং অ্যালস্টমে কাজ করার সময়ে ৪০টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন। তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আব্দুস সাত্তার খানের গবেষণা এবং মহাকাশে তার প্রয়োগের জন্য তিনি নাসা, আমেরিকান বিমানবাহিনী, ইউনাইটেড টেকনোলজি এবং অ্যালস্টম থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি ৩১ টি পেটেন্টের অধিকারী।

বিশ্ববিখ্যাত নাসার এই বিজ্ঞানী ড. আবদুস সাত্তার খানের জগৎজুড়ে এতটা পরিচিতি ও খ্যাতি থাকলেও, তাঁর জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নবাসির কাছে এই নামটি যেন একটি অপরিচিত নাম। ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ ও নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এখনও তাঁর সম্পর্কে তেমনভাবে অবগত নয়। এমনকি, তিনি রতনপুরের যেই উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন, সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেক শিক্ষকও তাঁর সম্পর্কে তেমন একটা অবগত নয় বলেই জানা যায়। তবে এলাকার মুরুব্বীদের কাছে নাসার এই বিজ্ঞানী ড. আবদুস সাত্তার খান ‘চুন্নু মিয়া’ নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

আজ নাসার বিজ্ঞানী ড. আবদুস সাত্তার খানের ১৬তম প্রয়াণ দিবস

প্রকাশের সময় : ০৯:০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মো. আলমগীর খন্দকার, প্রতিদিনের পোস্ট: আজ ১ফেব্রুয়ারি, নাসার বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. আব্দুস সাত্তার খান এর ১৬তম প্রয়াণ দিবস। যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কাজ করেছেন। ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্বড. আবদুস সাত্তার খান অ্যামেরিকাতেই মারা যান।

বাংলাদেশের বিখ্যাত এই মহাকাশ গবেষক ড. আবদুস সাত্তার খান কর্মজীবনে নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিসের প্র‍্যাট এন্ড হুইটনি এবং অ্যালস্টমে (সুইজারল্যান্ড) কাজ করেছেন।

আব্দুস সাত্তার খান ১৯৪১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। তিনি রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগ থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৩ সালে স্নাতকোত্তর  ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট করতে যান। এরপর তিনি ধাতব  প্রকৌশল নিয়ে গবেষণা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। তিনি নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস এবং অ্যালস্টমে কাজ করার সময়ে ৪০টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন। তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আব্দুস সাত্তার খানের গবেষণা এবং মহাকাশে তার প্রয়োগের জন্য তিনি নাসা, আমেরিকান বিমানবাহিনী, ইউনাইটেড টেকনোলজি এবং অ্যালস্টম থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি ৩১ টি পেটেন্টের অধিকারী।

বিশ্ববিখ্যাত নাসার এই বিজ্ঞানী ড. আবদুস সাত্তার খানের জগৎজুড়ে এতটা পরিচিতি ও খ্যাতি থাকলেও, তাঁর জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নবাসির কাছে এই নামটি যেন একটি অপরিচিত নাম। ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ ও নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এখনও তাঁর সম্পর্কে তেমনভাবে অবগত নয়। এমনকি, তিনি রতনপুরের যেই উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন, সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেক শিক্ষকও তাঁর সম্পর্কে তেমন একটা অবগত নয় বলেই জানা যায়। তবে এলাকার মুরুব্বীদের কাছে নাসার এই বিজ্ঞানী ড. আবদুস সাত্তার খান ‘চুন্নু মিয়া’ নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন।