ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় র‍্যাব-১২ এর সফল কমান্ডার ইলিয়াস খান

সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া জেলা এক সময় ছিল চরমপন্থীদের দখলে। সারাদেশে যেকোনো এলাকায় কুষ্টিয়ার নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেত এবং কুষ্টিয়া আসতে আতংকিত বোধ করতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পুলিশ ও র‍্যাবের অক্লান্ত পরিশ্রমে কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের দমানোর মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে অনেক উন্নতশীল।

কুষ্টিয়া র‍্যাব-১২ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে মোহাম্মদ ইলিয়াস খান কুষ্টিয়ায় যোগদান করেন ২০২১ সালের ৬ জুলাই। এরপর থেকেই এই জেলার মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ক্রমেই কমে এসেছে।

মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে র‍্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়ায় যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৭ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল ৯টি, ওয়ান শুটারগান ১৯টি, বিদেশী রিভলবার ৩টি, এয়ারগান ১০টি, বিদেশি এসএমজি ১টি, একনলা বন্দুক ১টি, ম্যাগাজিন ১৬টি, গুলি ৪৯ রাউন্ড, কার্তুজ ২৪ রাউন্ড, সীসা বুলেট ৪৭৫টি, হেরোইন ৬৫৪ গ্রাম, ইয়াবা ১১ হাজার ৪৫৬ পিস, ফেনসিডিল ২৫১৯ বোতল, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৬৬৯ পিস, চোলাই মদ ৫১৩.৭৮৫ লিটার, বিদেশী মদ ৩ বোতল, স্পিরিট ১৪.৮৮ লিটার উদ্ধার করেন। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় ৩৩২ জন ও ওয়ারেন্টভুক্ত ২৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামে মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের বাড়ি। তার বাবা আব্দুল হাই খান। মা মৃত হেলেনা বেগম। দুই ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। স্কুল জীবন থেকেই ইলিয়াস খান ছিলেন খুব মেধাবী। ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, তেজগাঁও থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন তিনি। এরপর নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

র‍্যাব-১২ সিপিসি ১ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ে রাখার লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র‍্যাব বদ্ধপরিকর।

এছাড়াও র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন। এই ধরণের অভিযান অব্যাহত রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‍্যাব-১২, সিপিসি ১ কুষ্টিয়া বদ্ধপরিকর।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

কুষ্টিয়ায় র‍্যাব-১২ এর সফল কমান্ডার ইলিয়াস খান

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া জেলা এক সময় ছিল চরমপন্থীদের দখলে। সারাদেশে যেকোনো এলাকায় কুষ্টিয়ার নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেত এবং কুষ্টিয়া আসতে আতংকিত বোধ করতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পুলিশ ও র‍্যাবের অক্লান্ত পরিশ্রমে কুষ্টিয়ার শীর্ষ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের দমানোর মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে অনেক উন্নতশীল।

কুষ্টিয়া র‍্যাব-১২ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে মোহাম্মদ ইলিয়াস খান কুষ্টিয়ায় যোগদান করেন ২০২১ সালের ৬ জুলাই। এরপর থেকেই এই জেলার মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ক্রমেই কমে এসেছে।

মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে র‍্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়ায় যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৭ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল ৯টি, ওয়ান শুটারগান ১৯টি, বিদেশী রিভলবার ৩টি, এয়ারগান ১০টি, বিদেশি এসএমজি ১টি, একনলা বন্দুক ১টি, ম্যাগাজিন ১৬টি, গুলি ৪৯ রাউন্ড, কার্তুজ ২৪ রাউন্ড, সীসা বুলেট ৪৭৫টি, হেরোইন ৬৫৪ গ্রাম, ইয়াবা ১১ হাজার ৪৫৬ পিস, ফেনসিডিল ২৫১৯ বোতল, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৬৬৯ পিস, চোলাই মদ ৫১৩.৭৮৫ লিটার, বিদেশী মদ ৩ বোতল, স্পিরিট ১৪.৮৮ লিটার উদ্ধার করেন। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় ৩৩২ জন ও ওয়ারেন্টভুক্ত ২৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামে মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের বাড়ি। তার বাবা আব্দুল হাই খান। মা মৃত হেলেনা বেগম। দুই ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। স্কুল জীবন থেকেই ইলিয়াস খান ছিলেন খুব মেধাবী। ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, তেজগাঁও থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন তিনি। এরপর নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

র‍্যাব-১২ সিপিসি ১ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ে রাখার লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র‍্যাব বদ্ধপরিকর।

এছাড়াও র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন। এই ধরণের অভিযান অব্যাহত রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র‍্যাব-১২, সিপিসি ১ কুষ্টিয়া বদ্ধপরিকর।