ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াশালে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, পালিয়েছে স্বামী

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি :
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৬১ বার পড়া হয়েছে

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে সুমি আক্তার (২২) নামে এক প্রবাস ফেরত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার উত্তর মিয়া পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় সাত বছর আগে উত্তর মিয়া পাড়ার ফজলুর রহমানের মেয়ে সুমির আক্তারের সাথে একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রুপন আহমেদ ওরফে রুপার প্রেম করে বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সুমি জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে কাজ করতে যান। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

এরপর থেকেই তার স্বামীর সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। গতকাল রাতে কোন একসময় ঝগড়ার একপর্যায়ে সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। পরে তার মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে স্বামী রুপন আহমেদ। সকাল ৯টার দিকে তাদের চার বছরের একছেলে সন্তানকে নিহত সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। পরে ওই বোন তাদের ভাড়া বাসায় এসে রুম পরিস্কার করার জন্য ঝাড়ু দেওয়ার এক পর্যায়ে খাটের নিচে তার বোনের মরদেহ দেখতে পায়। এদিকে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়ে সুমির মরদেহটি উদ্ধার করে।

পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রুপন আহমেদ পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

ঘোড়াশালে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, পালিয়েছে স্বামী

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে সুমি আক্তার (২২) নামে এক প্রবাস ফেরত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার উত্তর মিয়া পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় সাত বছর আগে উত্তর মিয়া পাড়ার ফজলুর রহমানের মেয়ে সুমির আক্তারের সাথে একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রুপন আহমেদ ওরফে রুপার প্রেম করে বিয়ে হয়। দুই বছর আগে সুমি জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে কাজ করতে যান। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

এরপর থেকেই তার স্বামীর সাথে টাকা পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। গতকাল রাতে কোন একসময় ঝগড়ার একপর্যায়ে সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। পরে তার মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে স্বামী রুপন আহমেদ। সকাল ৯টার দিকে তাদের চার বছরের একছেলে সন্তানকে নিহত সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। পরে ওই বোন তাদের ভাড়া বাসায় এসে রুম পরিস্কার করার জন্য ঝাড়ু দেওয়ার এক পর্যায়ে খাটের নিচে তার বোনের মরদেহ দেখতে পায়। এদিকে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়ে সুমির মরদেহটি উদ্ধার করে।

পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রুপন আহমেদ পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।