ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রেজওয়ানা পারভীন (সুমি) ৬০ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা ৭ বছরের শিশুর ধর্ষণ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ এস আই সুব্রত দাস ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিল তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

মামলার শীর্ষ ৫ আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট, ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি: প্রতিদিনের পোস্ট

নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে নাছিমা আক্তার নামে এক নারীর উপর নৃশংস হামলার ঘটনায় মামলা হলেও প্রধান আসামি হাজী মুসা মিয়াসহ পাঁচজনকে বাদ দিয়ে গত ২১ (অক্টোবর) চার্জশিট জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক।

এ ঘটনায় আজ শনিবার ১৮ (নভেম্বর) সকাল ৯টায় নবীনগর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার।

অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩১ (আগস্ট) রাতে আমাকে নৃশংসভাবে হামলা করে দুই পায়ের রগ কেটে ফেলেন মুসা মিয়া সহ তার দলবল। এ সময় মধ্যযুগীয় কায়দায় আমাকে নির্যাতন করা হয়। পরে স্থানীরা আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে আবারও মোছা মিয়া আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় মোছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে গত ৭ (সেপ্টেম্বর) নবীনগর থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করি।

কিন্তু আমি হাসপাতালে শয্যাশায়ী থাকা অবস্থায় নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম ও মামলার তদন্তকারী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক আমাকে ও আমার সাক্ষীদেরকে কোন প্রকার জিজ্ঞাসাবাদ না করেই আসামিদের সৃজনকৃত এমসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এনে টাকার বিনিময়ে মূল আসামি হাজী মুসা মিয়া, ফায়েজ, ফরিদ মিয়া, মোঃ হোসেন খান, আনোয়ার সহ পাঁচজনকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে মনগড়া একটি প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার আরো বলেন, শুধু তাই নয় আহত অবস্থায় আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক। পরে আসামিদের সাথে মিলিত হয়ে আমার ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করেন। পরে ওই ছবি দিয়ে আসামীরা আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেন। আমাকে হয়রানি করা এবং ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করার ঘটনায় নবীনগর থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবো।

এব্যাপারে নবীনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ,মামলা করলে উনি করতে পারেন যেহেতু উনি বাদী। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যা সত্য পেয়েছে তাই চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছেন। চার্জশিট যদি উনার মন মত না হয়, তিনি আদালতে না রাজি দিতে পারবেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন,মামলার তদন্তে যাদের কে সম্পৃক্ত পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

মামলার শীর্ষ ৫ আসামিকে বাদ দিয়ে চার্জশিট, ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে নাছিমা আক্তার নামে এক নারীর উপর নৃশংস হামলার ঘটনায় মামলা হলেও প্রধান আসামি হাজী মুসা মিয়াসহ পাঁচজনকে বাদ দিয়ে গত ২১ (অক্টোবর) চার্জশিট জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক।

এ ঘটনায় আজ শনিবার ১৮ (নভেম্বর) সকাল ৯টায় নবীনগর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার।

অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩১ (আগস্ট) রাতে আমাকে নৃশংসভাবে হামলা করে দুই পায়ের রগ কেটে ফেলেন মুসা মিয়া সহ তার দলবল। এ সময় মধ্যযুগীয় কায়দায় আমাকে নির্যাতন করা হয়। পরে স্থানীরা আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে আবারও মোছা মিয়া আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় মোছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে গত ৭ (সেপ্টেম্বর) নবীনগর থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করি।

কিন্তু আমি হাসপাতালে শয্যাশায়ী থাকা অবস্থায় নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম ও মামলার তদন্তকারী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক আমাকে ও আমার সাক্ষীদেরকে কোন প্রকার জিজ্ঞাসাবাদ না করেই আসামিদের সৃজনকৃত এমসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এনে টাকার বিনিময়ে মূল আসামি হাজী মুসা মিয়া, ফায়েজ, ফরিদ মিয়া, মোঃ হোসেন খান, আনোয়ার সহ পাঁচজনকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে মনগড়া একটি প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার আরো বলেন, শুধু তাই নয় আহত অবস্থায় আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক। পরে আসামিদের সাথে মিলিত হয়ে আমার ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করেন। পরে ওই ছবি দিয়ে আসামীরা আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেন। আমাকে হয়রানি করা এবং ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করার ঘটনায় নবীনগর থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবো।

এব্যাপারে নবীনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ,মামলা করলে উনি করতে পারেন যেহেতু উনি বাদী। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যা সত্য পেয়েছে তাই চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছেন। চার্জশিট যদি উনার মন মত না হয়, তিনি আদালতে না রাজি দিতে পারবেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন,মামলার তদন্তে যাদের কে সম্পৃক্ত পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।