ঢাকা , সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসএসসির ফলাফলে মেয়েকে ছাড়িয়ে গেলেন ৪৪ বছর বয়সী মেম্বার মা আমি যদি নির্বাচিত হই, সদর দক্ষিণের সকল প্রকার চাঁদাবাজী বন্ধ করবো : ইঞ্জি: রিপন শিবপুরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে গায়ক পিয়ালসহ দুই জনের প্রাণ গেল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে ২০৪১ এর স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশের সূচনা হবে: আক্তারুজ্জামান রিপন কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড আলফাডাঙ্গার কয়েকটি গ্রাম ৩৫০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অনুমোদন করে না, হাইকোর্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন ঠিক সেইভাবেই ভোট হবে : আক্তারুজ্জামান রিপন ঝিকরগাছায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময়

“আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

সাতরং ডেস্ক।। “আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”।

বিয়ে হোক বা হুল্লোড়, ইংল্যান্ডের এই গ্রামে আনন্দ উদ্‌যাপনের জন্য আসেন সাধারণ মানুষ। লম্বা ছুটি কাটানোর ঠিকানা হিসেবেও অক্সনিডের জুড়ি নেই। কিন্তু এই গ্রামই সম্প্রতি ছেয়ে গিয়েছে নানা পোস্টার এবং সাইনবোর্ডে। যাতে বড় বড় করে লেখা, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়’।

বিয়েবাড়ির আয়োজনে গ্রামের সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই স্থানীয়রাই গ্রামে আর অতিথি চান না। তারা গ্রামজুড়ে সাইনবোর্ড বসিয়ে আগামী দিনে যারা অক্সনিডে বিয়ে বা অন্য কোনো উৎসব উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের বার্তা দিয়েছেন। কোনো সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘বর-কনে এবং বিয়েবাড়ির অতিথিরা অক্সনিডে আর স্বাগত নন।’ কোনো সাইনবোর্ডে আবার লেখা হয়েছে, ‘আর কোনো বিয়ে নয়, অনেক হয়েছে।’

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অক্সনিডে যারা আনন্দ করতে আসেন, তারা গ্রামটিকে নোংরা করে দিয়ে যান। সাজানো বাগানে যত্রতত্র নোংরা ফেলা থেকে শুরু করে প্রস্রাব করা, কিছুই বাদ থাকে না। তারা চলে গেলে গ্রাম বার বার পরিষ্কার করাতে হয়। এতে দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যাহত হয়।

অক্সনিডে বিয়ে বা অন্যান্য আনন্দ উৎসব আয়োজনের রীতি অনেক পুরনো। ষোড়শ শতাব্দী থেকে সেখানে বিয়ের আসর বসছে। তবে প্রাচীন রীতি নিয়ে রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। রাতবিরেতে তারস্বরে গানবাজনার কারণে তারা ভালো করে ঘুমাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।

অক্সনিডে শতাব্দীপ্রাচীন একটি হলো রয়েছে, সেখানেই মূলত বিয়ের আসর বসে। এতো বছর ধরে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হত। কিন্তু অতিমারি-পরবর্তী সময়ে অক্সনিডে যত খুশি বিয়ের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তারপর থেকেই স্থানীয়দের উপর ‘অত্যাচার’ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বার সেই বিয়েবাড়িগুলোর বিরুদ্ধেই একজোট হলো অক্সনিড।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

সাতরং ডেস্ক।। “আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”।

বিয়ে হোক বা হুল্লোড়, ইংল্যান্ডের এই গ্রামে আনন্দ উদ্‌যাপনের জন্য আসেন সাধারণ মানুষ। লম্বা ছুটি কাটানোর ঠিকানা হিসেবেও অক্সনিডের জুড়ি নেই। কিন্তু এই গ্রামই সম্প্রতি ছেয়ে গিয়েছে নানা পোস্টার এবং সাইনবোর্ডে। যাতে বড় বড় করে লেখা, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়’।

বিয়েবাড়ির আয়োজনে গ্রামের সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই স্থানীয়রাই গ্রামে আর অতিথি চান না। তারা গ্রামজুড়ে সাইনবোর্ড বসিয়ে আগামী দিনে যারা অক্সনিডে বিয়ে বা অন্য কোনো উৎসব উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের বার্তা দিয়েছেন। কোনো সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘বর-কনে এবং বিয়েবাড়ির অতিথিরা অক্সনিডে আর স্বাগত নন।’ কোনো সাইনবোর্ডে আবার লেখা হয়েছে, ‘আর কোনো বিয়ে নয়, অনেক হয়েছে।’

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অক্সনিডে যারা আনন্দ করতে আসেন, তারা গ্রামটিকে নোংরা করে দিয়ে যান। সাজানো বাগানে যত্রতত্র নোংরা ফেলা থেকে শুরু করে প্রস্রাব করা, কিছুই বাদ থাকে না। তারা চলে গেলে গ্রাম বার বার পরিষ্কার করাতে হয়। এতে দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যাহত হয়।

অক্সনিডে বিয়ে বা অন্যান্য আনন্দ উৎসব আয়োজনের রীতি অনেক পুরনো। ষোড়শ শতাব্দী থেকে সেখানে বিয়ের আসর বসছে। তবে প্রাচীন রীতি নিয়ে রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। রাতবিরেতে তারস্বরে গানবাজনার কারণে তারা ভালো করে ঘুমাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।

অক্সনিডে শতাব্দীপ্রাচীন একটি হলো রয়েছে, সেখানেই মূলত বিয়ের আসর বসে। এতো বছর ধরে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হত। কিন্তু অতিমারি-পরবর্তী সময়ে অক্সনিডে যত খুশি বিয়ের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তারপর থেকেই স্থানীয়দের উপর ‘অত্যাচার’ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বার সেই বিয়েবাড়িগুলোর বিরুদ্ধেই একজোট হলো অক্সনিড।