ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাটগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রেজওয়ানা পারভীন (সুমি) ৬০ বছরের বৃদ্ধের দ্বারা ৭ বছরের শিশুর ধর্ষণ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ এস আই সুব্রত দাস ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিল তাপপ্রবাহে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা : ইউনিসেফ নরসিংদীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দুহাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছে হাজারো মুসল্লি শায়েস্তাগঞ্জে ১৫শ কৃষকের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আলফাডাঙ্গায় অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করায় ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা নবীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

“আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”

প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

সাতরং ডেস্ক।। “আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”।

বিয়ে হোক বা হুল্লোড়, ইংল্যান্ডের এই গ্রামে আনন্দ উদ্‌যাপনের জন্য আসেন সাধারণ মানুষ। লম্বা ছুটি কাটানোর ঠিকানা হিসেবেও অক্সনিডের জুড়ি নেই। কিন্তু এই গ্রামই সম্প্রতি ছেয়ে গিয়েছে নানা পোস্টার এবং সাইনবোর্ডে। যাতে বড় বড় করে লেখা, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়’।

বিয়েবাড়ির আয়োজনে গ্রামের সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই স্থানীয়রাই গ্রামে আর অতিথি চান না। তারা গ্রামজুড়ে সাইনবোর্ড বসিয়ে আগামী দিনে যারা অক্সনিডে বিয়ে বা অন্য কোনো উৎসব উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের বার্তা দিয়েছেন। কোনো সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘বর-কনে এবং বিয়েবাড়ির অতিথিরা অক্সনিডে আর স্বাগত নন।’ কোনো সাইনবোর্ডে আবার লেখা হয়েছে, ‘আর কোনো বিয়ে নয়, অনেক হয়েছে।’

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অক্সনিডে যারা আনন্দ করতে আসেন, তারা গ্রামটিকে নোংরা করে দিয়ে যান। সাজানো বাগানে যত্রতত্র নোংরা ফেলা থেকে শুরু করে প্রস্রাব করা, কিছুই বাদ থাকে না। তারা চলে গেলে গ্রাম বার বার পরিষ্কার করাতে হয়। এতে দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যাহত হয়।

অক্সনিডে বিয়ে বা অন্যান্য আনন্দ উৎসব আয়োজনের রীতি অনেক পুরনো। ষোড়শ শতাব্দী থেকে সেখানে বিয়ের আসর বসছে। তবে প্রাচীন রীতি নিয়ে রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। রাতবিরেতে তারস্বরে গানবাজনার কারণে তারা ভালো করে ঘুমাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।

অক্সনিডে শতাব্দীপ্রাচীন একটি হলো রয়েছে, সেখানেই মূলত বিয়ের আসর বসে। এতো বছর ধরে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হত। কিন্তু অতিমারি-পরবর্তী সময়ে অক্সনিডে যত খুশি বিয়ের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তারপর থেকেই স্থানীয়দের উপর ‘অত্যাচার’ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বার সেই বিয়েবাড়িগুলোর বিরুদ্ধেই একজোট হলো অক্সনিড।

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

সাতরং ডেস্ক।। “আর একটাও বিয়ে নয়, হঠাৎ সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেল কেন এই গ্রাম?”।

বিয়ে হোক বা হুল্লোড়, ইংল্যান্ডের এই গ্রামে আনন্দ উদ্‌যাপনের জন্য আসেন সাধারণ মানুষ। লম্বা ছুটি কাটানোর ঠিকানা হিসেবেও অক্সনিডের জুড়ি নেই। কিন্তু এই গ্রামই সম্প্রতি ছেয়ে গিয়েছে নানা পোস্টার এবং সাইনবোর্ডে। যাতে বড় বড় করে লেখা, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়’।

বিয়েবাড়ির আয়োজনে গ্রামের সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই স্থানীয়রাই গ্রামে আর অতিথি চান না। তারা গ্রামজুড়ে সাইনবোর্ড বসিয়ে আগামী দিনে যারা অক্সনিডে বিয়ে বা অন্য কোনো উৎসব উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা করছেন, তাদের বার্তা দিয়েছেন। কোনো সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘বর-কনে এবং বিয়েবাড়ির অতিথিরা অক্সনিডে আর স্বাগত নন।’ কোনো সাইনবোর্ডে আবার লেখা হয়েছে, ‘আর কোনো বিয়ে নয়, অনেক হয়েছে।’

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অক্সনিডে যারা আনন্দ করতে আসেন, তারা গ্রামটিকে নোংরা করে দিয়ে যান। সাজানো বাগানে যত্রতত্র নোংরা ফেলা থেকে শুরু করে প্রস্রাব করা, কিছুই বাদ থাকে না। তারা চলে গেলে গ্রাম বার বার পরিষ্কার করাতে হয়। এতে দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যাহত হয়।

অক্সনিডে বিয়ে বা অন্যান্য আনন্দ উৎসব আয়োজনের রীতি অনেক পুরনো। ষোড়শ শতাব্দী থেকে সেখানে বিয়ের আসর বসছে। তবে প্রাচীন রীতি নিয়ে রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। রাতবিরেতে তারস্বরে গানবাজনার কারণে তারা ভালো করে ঘুমাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।

অক্সনিডে শতাব্দীপ্রাচীন একটি হলো রয়েছে, সেখানেই মূলত বিয়ের আসর বসে। এতো বছর ধরে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হত। কিন্তু অতিমারি-পরবর্তী সময়ে অক্সনিডে যত খুশি বিয়ের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তারপর থেকেই স্থানীয়দের উপর ‘অত্যাচার’ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বার সেই বিয়েবাড়িগুলোর বিরুদ্ধেই একজোট হলো অক্সনিড।