ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী বেলাবতে শামছুল হুদা রহমানীয়া মাহমুদীয়া দ্বীনিয়া মাদরাসার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভয়ে ভীত প্রীতি উরাংয়ের পরিবারও নাগরিক সমাজের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার দাবি কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ গেল ব্যাংকে টাকা নাই গ্ৰাহক সেবা থেকে বঞ্চিত; হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্টকে জেতাতে কোমর বেঁধেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি শামসুল হুদা লস্কর কলেজছাত্র মামুন হত্যাকান্ডের প্রধান জুনেদ কারাগারে শ্রীমঙ্গলে অভ্যন্তরীন বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন;কৃষিমন্ত্রী ‘অনুমতি ছাড়া জন্ম দেয়ায়’ মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা! সুদের চক্রে ফেঁসে বিষপানে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার আত্মহত্যা

“আওয়ামী লীগের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে”

রিপু
  • প্রকাশের সময় : ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আওয়ামী লীগের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে|

দুই-তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুলের ভাবখানা এমন যে, ক্ষমতায় এসেই গেছে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব বলেছেন,

তিনটা সমাবেশ করে ক্ষমতায় চলে গেছি বলে মনে করছি না। আমরা মনে করেছি তিনটি সমাবেশ করে আপনাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে, কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে! যে কারণে সমাবেশগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন।

ফখরুল বলেন, লজ্জা করে না আপনাদের, কী নির্লজ্জ আপনারা, কাপুরুষ আপনারা! বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আপনাদের পেটোয়া ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

‘অনেকেই জানতে চায়, রিজার্ভের টাকা গেলো কোথায়। তাদের বলতে চাই, এটা কেউ চিবিয়ে খায়নি। রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়।’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, রিজার্ভের টাকা পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য নয়। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে বিদেশ থেকে যে আমদানি করবেন তা ডলার দিয়ে পরিশোধ করবেন। দেশে যখন ক্রাইসিস দেখা দেবে তখন খরচ করবেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ধর্মঘট ডেকেছে, সেই ধর্মঘট দিয়ে কি গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখতে পেরেছে? পারেনি। জনগণ তাদের দাবি জানাতে পায়ে হেঁটে বিভিন্নভাবে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছে। বরিশালে ধর্মঘট দিয়েছে, রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে কেন? যাতে জনসমাবেশ বন্ধ করা যায়।

দেশে নির্বাচন নেই, নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন করেছে, যাকে ডিসি-এসপি মানে না এবং তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের পূর্বে হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরিষ্কার কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

‘খেলা হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, খেলা তখনই হয়, যখন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। খেলা তখন হবে যখন পদত্যাগ করবে সরকার থেকে এবং মধ্যবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেবে। তখন সেই নির্বাচনী খেলা হবে। এছাড়া কোনো খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ আর কখনো সেটা দেবে না।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান বক্তব্য রাখেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

“আওয়ামী লীগের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে”

প্রকাশের সময় : ০১:০১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিদিনের পোস্ট || আওয়ামী লীগের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে|

দুই-তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুলের ভাবখানা এমন যে, ক্ষমতায় এসেই গেছে—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব বলেছেন,

তিনটা সমাবেশ করে ক্ষমতায় চলে গেছি বলে মনে করছি না। আমরা মনে করেছি তিনটি সমাবেশ করে আপনাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে, কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে! যে কারণে সমাবেশগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন।

ফখরুল বলেন, লজ্জা করে না আপনাদের, কী নির্লজ্জ আপনারা, কাপুরুষ আপনারা! বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আপনাদের পেটোয়া ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

‘অনেকেই জানতে চায়, রিজার্ভের টাকা গেলো কোথায়। তাদের বলতে চাই, এটা কেউ চিবিয়ে খায়নি। রিজার্ভের টাকা গেল পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়।’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, রিজার্ভের টাকা পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য নয়। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে বিদেশ থেকে যে আমদানি করবেন তা ডলার দিয়ে পরিশোধ করবেন। দেশে যখন ক্রাইসিস দেখা দেবে তখন খরচ করবেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ধর্মঘট ডেকেছে, সেই ধর্মঘট দিয়ে কি গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখতে পেরেছে? পারেনি। জনগণ তাদের দাবি জানাতে পায়ে হেঁটে বিভিন্নভাবে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছে। বরিশালে ধর্মঘট দিয়েছে, রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে কেন? যাতে জনসমাবেশ বন্ধ করা যায়।

দেশে নির্বাচন নেই, নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন করেছে, যাকে ডিসি-এসপি মানে না এবং তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের পূর্বে হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরিষ্কার কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

‘খেলা হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, খেলা তখনই হয়, যখন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। খেলা তখন হবে যখন পদত্যাগ করবে সরকার থেকে এবং মধ্যবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেবে। তখন সেই নির্বাচনী খেলা হবে। এছাড়া কোনো খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ আর কখনো সেটা দেবে না।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান বক্তব্য রাখেন।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /প্রতিদিনের পোস্ট