ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, প্রতিদিনের পোস্ট.কম
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১১৪ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়াসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে নারীকে মারধরসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে গিয়ে নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেছেন উল্লেখ করে সৈয়দা বদরুননেছা নামে এক নারী ওই চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন।

সৈয়দা বদরুননেছা সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা মো. সারওয়ারের স্ত্রী। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়াও একই গ্রামের বাসিন্দা।

গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বদরুননেছা আদালতে প্রথম মামলা করেন। পরের দিন তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জায়গায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আরেকটি মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বদরুননেছার শ্বশুর সামছুল হুদা বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, আদালত দ্রুত বিচার আইনের ধারার মামলাসহ দুটি মামলা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী সৈয়দা বদরুননেছা বলেন, ‘প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজন প্রভাবশালী। আদালতে মামলার করার পর উল্টো পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছি। টাকা দিয়ে জায়গা কিনে এখন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’

সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া বলেন, ‘সেখানে আমার পারিবারিক জায়গা রয়েছে। চাচা আনোয়ার হোসেন দুর-সম্পর্কের চাচি বদরুননেছার কাছে জায়গা বিক্রি করেন। আরেক চাচা রেনু ভূইয়া স্থানীয় কালুর কাছে জায়গা বিক্রি করেন। ২০০৭ সালে আমাদের পারিবারিক বণ্টননামা করা হয়। সেখানে পেছনের জায়গায় যেতে তিন ফুট লম্বা রাস্তার বিষয় উল্লেখ করা হয়। ঘটনার দিন কয়েকজন গিয়ে গাছপালা কেটে ফেলে। সেসময় টানাহেঁচড়া হয়ে থাকতে পারে। তবে আমি দেখিনি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বাদীপক্ষকে কোনো ধরণের হয়রানি করেনি। অভিযোগ সত্য না।

ট্যাগস :

এই নিউজটি শেয়ার করুন

x

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়াসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে নারীকে মারধরসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে গিয়ে নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেছেন উল্লেখ করে সৈয়দা বদরুননেছা নামে এক নারী ওই চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন।

সৈয়দা বদরুননেছা সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা মো. সারওয়ারের স্ত্রী। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়াও একই গ্রামের বাসিন্দা।

গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বদরুননেছা আদালতে প্রথম মামলা করেন। পরের দিন তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জায়গায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আরেকটি মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বদরুননেছার শ্বশুর সামছুল হুদা বাদী হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান প্রতিদিনের পোস্টকে জানান, আদালত দ্রুত বিচার আইনের ধারার মামলাসহ দুটি মামলা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী সৈয়দা বদরুননেছা বলেন, ‘প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকজন প্রভাবশালী। আদালতে মামলার করার পর উল্টো পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছি। টাকা দিয়ে জায়গা কিনে এখন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।’

সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া বলেন, ‘সেখানে আমার পারিবারিক জায়গা রয়েছে। চাচা আনোয়ার হোসেন দুর-সম্পর্কের চাচি বদরুননেছার কাছে জায়গা বিক্রি করেন। আরেক চাচা রেনু ভূইয়া স্থানীয় কালুর কাছে জায়গা বিক্রি করেন। ২০০৭ সালে আমাদের পারিবারিক বণ্টননামা করা হয়। সেখানে পেছনের জায়গায় যেতে তিন ফুট লম্বা রাস্তার বিষয় উল্লেখ করা হয়। ঘটনার দিন কয়েকজন গিয়ে গাছপালা কেটে ফেলে। সেসময় টানাহেঁচড়া হয়ে থাকতে পারে। তবে আমি দেখিনি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বাদীপক্ষকে কোনো ধরণের হয়রানি করেনি। অভিযোগ সত্য না।